Wednesday, September 10, 2025
বাঙালি কাউন্টডাউন
HomeScrollSSC কাণ্ডে অযোগ্য প্রার্থীদের আবেদন খারিজ কলকাতা হাইকোর্টে

SSC কাণ্ডে অযোগ্য প্রার্থীদের আবেদন খারিজ কলকাতা হাইকোর্টে

‘দাগি অযোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীদের ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট

কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commissions) ১৮০৬ জন অযোগ্যের তালিকা প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি মামলা বর্তমানে শীর্ষ আদালতেই বিচারাধীন রয়েছে। ২৮ ও ২৯ অগাস্ট সুপ্রিমকোর্ট দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে শীর্ষ আদালতে। এই মামলাতেই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) স্কুল সার্ভিস কমিশন যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে হস্তক্ষেপ করা যথাযথ বলে মনে করছে না। সেই জন্য অযোগ্য প্রার্থীদের পরীক্ষায় বসতে চেয়ে আবেদন খারিজ করা হল বলে জানালেন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য।

স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ‘দাগি অযোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীদের ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। অযোগ্য প্রার্থীদের আবেদন খারিজ কলকাতা হাইকোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই তালিকা প্রকাশ তাই হস্তক্ষেপ নয় জানিয়ে দিলেন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। অযোগ্যদের পরীক্ষায় বসতে চেয়ে আবেদন মামলার শুনানি: মঙ্গলবার হাই কোর্টে মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে মামলাকারীদের ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। মামলাকারীদের কাছে তিনি জানতে চান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে তাঁরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে গিয়েছিলেন কি না। চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ী বলেন, এখনও ওএমআর পাবলিশ করা হয়নি। এরা টেণ্টেড ক্যাটেগরির মধ্যে পড়েন না। হাই কোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের পর্যবেক্ষণ, “এত দিন কোথায় ছিলেন? যেই তালিকা প্রকাশ হল, আদালতে চলে এলেন।” বিচারপতি আরও বলেন, “যথেষ্ট হয়েছে আর নয়!

আরও পড়ুন: রাইটার্সের সামনে সেনাবাহিনীর গাড়ি আটকাল কলকাতা পুলিশ

বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যআরও বলেন, এখন এই পর্যায়ে এসে কেন আদালত হস্তক্ষেপ করবে? সুপ্রিমকোর্ট টেন্টেডদের ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল পর্যন্ত রাখতে বারণ করেছে। কেন সময় নষ্ট করছেন? আপনি একজন সিনিয়র আইনজীবী অন্য মামলা করুন গিয়ে। সুপ্রিমকোর্ট জানিয়েছে একটা টেন্টেড প্রার্থী সিলিপ করে গেলেও তাকে বাদ দিতে হবে, সে ব্যাপারে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে সতর্ক করেছে শীর্ষ আদালত।
অনিন্দ্য লাহিড়ী, চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবী তিনি বলনে, টেন্টেড প্রার্থীদের তিনটি ক্যাটেগরি করেছিল আদালত। সেই তিনটা ক্যাটেগরির মধ্যে পড়েননা এই প্রার্থীরা। অন্য দিকে কমিশনের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করেন, কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী- না ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। টেণ্টেড মানে শুধু ওই কয়েকটি ক্যাটেগরিই নয়। আরও একাধিক কারণে টেণ্ডেড হিসাবে বিবেচনা করা হয়ে থাকতে পারে।

অনিন্দ্য লাহিড়ী, চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবী বলেন, এই তালিকা প্রকাশের আগে পর্যন্ত প্রার্থীরা জানতই না তারা টেন্টেড প্রার্থী। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা নিয়ে তর্ক করে লাভ নেই। এই সব প্রার্থীর বিরুদ্ধে ওএমআর শিট কারচুপির অভিযোগ রয়েছে। সিবিআই যে তালিকা উদ্ধার করেছিল, তার সঙ্গে এসএসসি মিলিয়ে দেখেছে। ওএমআর শিট কারচুপি করে চাকরি পেয়েছেন। এই প্রার্থীরা র‍্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পেয়েছেন।”
বিচারপতি ভট্টাচার্য আবার মামলাকারীদের উদ্দেশে জানতে চান, তাঁরা এত দিন কী করছিলেন। তিনি বলেন, “৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপনাদের কেন স্কুলে যেতে দেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্নের উত্তর দিন। তখন আপনারা কী করছিলেন? কেন এসএসসির কাছে গিয়ে বলেননি?” তখন ‘দাগি অযোগ্য’দের আইনজীবী সওয়াল করেন, তাঁর মক্কেলদের কেন ‘অযোগ্য’ হিসাবে ধরা হল? ‘যোগ্য’ বা ‘অযোগ্য’ তালিকা কোথায়? সব তালিকা কেন প্রকাশ হল না? যদি ‘অযোগ্য’ বলা হয় তবে কেন পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী।

মামলকারীদের আইনজীবী বলেন, “অ্যাডমিট কার্ড দিয়েও কেন বাতিল করা হল? ওই সিদ্ধান্তকেও আমরা চ্যালেঞ্জ করছি।” যদিও কল্যাণ সওয়াল করেন, “সিবিআই বলছে ওএমআর শিট কারচুপি করা হয়েছে। তারা আমাদের দিয়েছে, আমরা গ্রহণ করেছি। সেই হিসাবে তাঁরা অযোগ্য। কারচুপি হয়েছে। ফলে কোন প্রার্থীকে, কত নম্বর দেওয়া হয়েছে সেটা ধরে লাভ নেই।” ৩০ অগাস্ট স্কুল সার্ভিস কমিশন যে ১৮০৬ জন অযোগ্যর তালিকা প্রকাশ করেছে সেই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই প্রার্থীদের। ২০১৬ সালের নাইন টেন এবং একাদশ দ্বাদশে চাকরি পেয়েছিলেন এরা।

দেখুন ভিডিও

Read More

Latest News